What's New Here?
"VODI " থেকে 10,000 V-COINS (৮০০ টাকা) জিতলাম।
Vodi থেকে 10,000 V-Coins (৮০০ টাকা) জিতলাম।
Posted By: Tamannaon: February 06, 2017In: AndroidNo Comments
Vodi একটি মেসেজিং এপ যা কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশে ভাইরাল হয়ে গেছে। এই এপের সবচাইতে বড় বিষয়টি হল এটি মেসেজ, কল, কন্টেস্ট এমনকি এপ ওপেন করার জন্যও রিওয়্যার্ড দেয়। যা ফ্লেক্সিলোডের মাধ্যমে পাওয়া যায়। অনেক বাংলাদেশি আছেন যারা এটা থেকে হাজারও টাকা নিয়েছেন। আমি নিজে কয়েকশ টাকা নিয়েছি। প্রতি মাসেContest ড্র হয় সেখান থেকে আমি ১০,০০০ V-coins (৮০০৳ মত টাকা) পেয়েছি।
আপনিও পেতে পারেন।
কথা না বাড়িয়ে এর ব্যবহার বলছি।
প্রথমে ডাউনলোড করতে নিচে ঃDownload linkএ যান।
ওপেন করুন এবং Start লেখায় ক্লিক করুন। কিছু সময় লাগবে। সম্পুর্ণ সাইন আপ প্রসেসে ৫ এম্বির মত খরচ হবে।
এবার আপনার ফোন নাম্বার চাইবে, শুন্য ছাড়া আপনার ফোন নাম্বার দেন। Continue এ ক্লিক করুন।
এবার আপনাকে Verification Code বসাতে হবে। আপনি SMS এ এই কোড টি পেয়ে যাবেন। কোড বসানোর পর Verify এ ক্লিক করুন।
তারপর রিফার আইডি আসতে পারে। এখানে আপনি রেফারেল কোড WEE726(বড় হাতের অক্ষর দিবেন) বসিয়ে দিন। তারপর Confirm এ ক্লিক করুন।
আপনার নাম, ছবি, ইমেইল দিতে পারেন।
আপনার আইডি এক্টিভ হয়ে যাবে, এখন আপনি Message দিন, কল করুন, অন্যান্য অপশন ঘোরে দেখুন (৫ মিনিট)। দেখবেন আপনার পয়েন্ট বারতে থাকবে।
সাইন আপ করতে যদি কোন Error আসে তার কারন হতে পারে।
আপনার ফোন রুট করা।
আপনার ফোনে একাধিক ID এক্টিভ করা।
আপনার ফোন নাম্বারটি কোন কারনে ব্যান হয়েছে।
একাধিক ID একই ফোন দিয়ে চালানোঃ একই ফোনে একাধিক ID চালাতে হলে নিচের পদ্ধতি আনুসরন করুন।
প্রথমে Vodi এপকে Greenify বা force stop করে রাখুন।
Parallel Space এপটি ডাউনলোড করে নিন।
ওপেন করে Start তে ক্লিক করুন।
তারপর যদি Vodi এর আইকন/নাম আসে তাহলে তাহলে সিলেক্ট করে Add To Parallel space এ ক্লিক করুন। না আসলে যেকোন একটি এপ সিলেক্ট করে নিন। তারপর + আইকনে ক্লিক করে vodi সিলেক্ট করুন এবং Add to parallel space এ ক্লিক করুন।
তারপর দেখবেন vodi আইকন দেখাবে সেখান থেকে vodi ওপেন করুন।
এখন রেজিস্টার করে নিন নতুন নাম্বার দিয়ে। রেফার কোড হিসেবে আমারটা দিবেন WEE726
আয় করতেঃ ৫ V-coins পাবেন
মেসেজ দিয়ে(দিনে একবার)
কল করে(দিনে একবার)
ভিডিও কল করে (দিনে একবার)
(১ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হয়েছে)৫০ V-coins পাবেন প্রতি রিফারের জন্য। অর্থাৎ আপনি যদি ১৪ জনকে রিফার করেন তাহলে আপনি পাবেন ৭০০ V-coins যা দিয়ে আপনি ৫০ টাকা রিচার্জ নিতে পারবেন।
কন্টেস্টের মাধ্যমেও আধিক আয় করা সম্ভব। আমার হিসাব অনুযায়ী আপনি যদি ৫০ জনকে রিফার করতে পারেন তাহলে মাস শেষে আপনার ব্যলেন্সে ১০হাজার V-coins যোগ হবে। সাথে আপনি পাবেন রিফারের ২৫০০ V-coins।
রাফেল টিকেটঃ Raffle ticket হল লটারির টিকেট যা আপনি কল, মেসেজ, রেফার করলে পাবেন। বর্তমানের যে রাফেল টি চলতেছে তা ফেব্রুয়ারি ২৮ পর্যন্ত চলবে। ১লা মার্চে সেটি ড্র হবে এবং মোট ৩০৪ জন বিজয়ীর নাম ঘোষনা করা হবে। কারো যদি একটি টিকিটও থাকে তাহলেও সে জিততে পারে।
রিচার্জ নেয়াঃ রিচার্জ নিতে আপনি More tab থেকে recharge my phone(অন্য কোন নাম্বারে রিচার্জ নিতে recharge friend mobile) অপশনটি সিলেক্ট করুন তারপর টাকার পরিমান সিলেক্ট করুন (৫০ এর জন্য ৬৭০ হবে, ১০০০ এর জন্য ১০৪০০ কয়েন লাগবে) তারপর Use V-coins সেলেক্ট করুন। তারপর OK সিলেক্ট করলেই দেখবেন টাকা পেয়ে যাবেন রিচার্জে। যদি না পান আবার ট্রাই করু
Download link Vodi:
"VODI " থেকে 10,000 V-COINS (৮০০ টাকা) জিতলাম।
Vodi থেকে 10,000 V-Coins (৮০০ টাকা) জিতলাম।
Posted By: Tamannaon: February 06, 2017In: AndroidNo Comments
Vodi একটি মেসেজিং এপ যা কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশে ভাইরাল হয়ে গেছে। এই এপের সবচাইতে বড় বিষয়টি হল এটি মেসেজ, কল, কন্টেস্ট এমনকি এপ ওপেন করার জন্যও রিওয়্যার্ড দেয়। যা ফ্লেক্সিলোডের মাধ্যমে পাওয়া যায়। অনেক বাংলাদেশি আছেন যারা এটা থেকে হাজারও টাকা নিয়েছেন। আমি নিজে কয়েকশ টাকা নিয়েছি। প্রতি মাসেContest ড্র হয় সেখান থেকে আমি ১০,০০০ V-coins (৮০০৳ মত টাকা) পেয়েছি।
আপনিও পেতে পারেন।
কথা না বাড়িয়ে এর ব্যবহার বলছি।
প্রথমে ডাউনলোড করতে নিচে ঃDownload linkএ যান।
ওপেন করুন এবং Start লেখায় ক্লিক করুন। কিছু সময় লাগবে। সম্পুর্ণ সাইন আপ প্রসেসে ৫ এম্বির মত খরচ হবে।
এবার আপনার ফোন নাম্বার চাইবে, শুন্য ছাড়া আপনার ফোন নাম্বার দেন। Continue এ ক্লিক করুন।
এবার আপনাকে Verification Code বসাতে হবে। আপনি SMS এ এই কোড টি পেয়ে যাবেন। কোড বসানোর পর Verify এ ক্লিক করুন।
তারপর রিফার আইডি আসতে পারে। এখানে আপনি রেফারেল কোড WEE726(বড় হাতের অক্ষর দিবেন) বসিয়ে দিন। তারপর Confirm এ ক্লিক করুন।
আপনার নাম, ছবি, ইমেইল দিতে পারেন।
আপনার আইডি এক্টিভ হয়ে যাবে, এখন আপনি Message দিন, কল করুন, অন্যান্য অপশন ঘোরে দেখুন (৫ মিনিট)। দেখবেন আপনার পয়েন্ট বারতে থাকবে।
সাইন আপ করতে যদি কোন Error আসে তার কারন হতে পারে।
আপনার ফোন রুট করা।
আপনার ফোনে একাধিক ID এক্টিভ করা।
আপনার ফোন নাম্বারটি কোন কারনে ব্যান হয়েছে।
একাধিক ID একই ফোন দিয়ে চালানোঃ একই ফোনে একাধিক ID চালাতে হলে নিচের পদ্ধতি আনুসরন করুন।
প্রথমে Vodi এপকে Greenify বা force stop করে রাখুন।
Parallel Space এপটি ডাউনলোড করে নিন।
ওপেন করে Start তে ক্লিক করুন।
তারপর যদি Vodi এর আইকন/নাম আসে তাহলে তাহলে সিলেক্ট করে Add To Parallel space এ ক্লিক করুন। না আসলে যেকোন একটি এপ সিলেক্ট করে নিন। তারপর + আইকনে ক্লিক করে vodi সিলেক্ট করুন এবং Add to parallel space এ ক্লিক করুন।
তারপর দেখবেন vodi আইকন দেখাবে সেখান থেকে vodi ওপেন করুন।
এখন রেজিস্টার করে নিন নতুন নাম্বার দিয়ে। রেফার কোড হিসেবে আমারটা দিবেন WEE726
আয় করতেঃ ৫ V-coins পাবেন
মেসেজ দিয়ে(দিনে একবার)
কল করে(দিনে একবার)
ভিডিও কল করে (দিনে একবার)
(১ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হয়েছে)৫০ V-coins পাবেন প্রতি রিফারের জন্য। অর্থাৎ আপনি যদি ১৪ জনকে রিফার করেন তাহলে আপনি পাবেন ৭০০ V-coins যা দিয়ে আপনি ৫০ টাকা রিচার্জ নিতে পারবেন।
কন্টেস্টের মাধ্যমেও আধিক আয় করা সম্ভব। আমার হিসাব অনুযায়ী আপনি যদি ৫০ জনকে রিফার করতে পারেন তাহলে মাস শেষে আপনার ব্যলেন্সে ১০হাজার V-coins যোগ হবে। সাথে আপনি পাবেন রিফারের ২৫০০ V-coins।
রাফেল টিকেটঃ Raffle ticket হল লটারির টিকেট যা আপনি কল, মেসেজ, রেফার করলে পাবেন। বর্তমানের যে রাফেল টি চলতেছে তা ফেব্রুয়ারি ২৮ পর্যন্ত চলবে। ১লা মার্চে সেটি ড্র হবে এবং মোট ৩০৪ জন বিজয়ীর নাম ঘোষনা করা হবে। কারো যদি একটি টিকিটও থাকে তাহলেও সে জিততে পারে।
রিচার্জ নেয়াঃ রিচার্জ নিতে আপনি More tab থেকে recharge my phone(অন্য কোন নাম্বারে রিচার্জ নিতে recharge friend mobile) অপশনটি সিলেক্ট করুন তারপর টাকার পরিমান সিলেক্ট করুন (৫০ এর জন্য ৬৭০ হবে, ১০০০ এর জন্য ১০৪০০ কয়েন লাগবে) তারপর Use V-coins সেলেক্ট করুন। তারপর OK সিলেক্ট করলেই দেখবেন টাকা পেয়ে যাবেন রিচার্জে। যদি না পান আবার ট্রাই করু
Download link Vodi:
না বলা ভালবাসা :
তেমন মধুর কোন স্রীতি ছিলনা মুরাদ আর রাফীর মধ্যে।শুধুমাত্রএকটি বার চোখ চাওয়া চাওয়ি করা ছাড়া। সেই চোখা চোখির সময় রাফীর মনে কোন প্রতিক্রিয়া হয়েছিল কি না মুরাদ তা জানে না,শুধু জানে তার নিজের মনে কেউ একজন ভালবাসার আবাস গড়ল সারাজীবনের জন্য।
সে দিনের পর থেকে আর দেখা হয়নি রাফীর সাথে।তবুও মনে মনে খুজে ফিরছিল মুরাদ রাফী নামের মায়াবতী কোমলমতী এক সুন্দর গ্রাম্য মেয়ের মুখ। মুরাদ তখনও জানে না রাফী মেয়েটি তার জীবনের জন্য কি বার্তা নিয়ে আসছে। এ দিকে মুরাদ রাফী কে নিয়ে সুখেরসপ্ন দেখা শুরু করেছে।
কিছুদিন পর মুরাদ তাদের বাড়ির উঠোনে একটি অপরিচীত মেয়ের অবয়ব আবিষ্কার করল।মুখটা তখনও অস্পষ্ট।তবে কেন জানি মুরাদের মনে হচ্ছিল এই মেয়েটিই সেই মেয়ে। মুরাদ বুঝতে পারে না মেয়েটার প্রতি তার কেন এত আকর্ষন?কিসেরই বা আকর্ষন? এর আগে মুরাদ কোন মেয়েকে এমন ভাবে ভাবেনি!
মুরাদ ভাবতে থাকে 'এটাই বুঝি ভালবাসা'। মেয়েটা যখন ঘুরে দাড়াল মুরাদ চমকে উঠল।এই মেয়েটাই তো সেই মেয়ে! মুরাদ তার ছোট বোন ইলার সাথে রাফীর কিছুটা ঘনিষ্টতা লক্ষ্য করল। ইলার কাছ থেকেই রাফী নামটা জানতেপারল মুরাদ।আরো জানল মেয়েটার বাড়ী রংপুর।এখানে ব্রিত্তী পরীক্ষা দেয়ার জন্য কোন এক আত্বীয়ের বাসায় আছে।
মুরাদ ভাবে ভালবাসার কথাটা রাফী কে বলবে। কিন্তু কিসের যেন এক অদ্রীশ্য দেয়াল এসে তাতে বাধা দেয়। মানুষের না পাওয়া গুলো যখনই পাওয়ায় রুপান্তরীত হতে চায় তখনই কিছু না কিছু এসে তাতে কাঁটাতার হয়ে বাঁধা দেয়।
মুরাদ বরাবরই ভাল ছেলে।গ্রামের সবাই ওকে খুব নম্র,ভদ্র ছেলে হিসেবে জানে। মূল বাধাটা এখানেই। মুরাদ চায়নি তার নামে কোন খারাপ ঘটনা বা কাহীনি রটুক গ্রামে।ও চেয়েছিল ধীরে ধীরে রাফীকে ও ওর অভীভাবক কে কথাটা জানাতে। কিন্তু ও হয়ত একটু বেশী দেরী করেফেলেছিল!
কেটে গেল ৫ টি বছর- মুরাদ তখনও তার ভালবাসার কথা বলতে পারেনি রাফীকে। মুরাদের ভালবাসার মাঝে বাধা হয়ে দাড়াল তারই এক বন্ধু আবির!যে কিনা নিজেও ভালবাসত রাফীকে। মুরাদ তখনও তা জানত না।রাফীর কারনে বন্ধুত্ব নষ্ট হওয়ার আগ মহূর্তটি পর্যন্ত তারা একে অপরে ছিল খুব ভাল বন্ধু! অবশ্য মুরাদ নিজেই এ বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে আবির ও রাফীর ভালর জন্য।
মুরাদ দেখল রাফী ও আবির একে অপরকে খুব ভালবাসে। এখন যদি সে রাফীকে তার ভালবাসার কথা বলে তবে তিনটি জীবনের জন্য তা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।একথা ভেবেই মুরাদ আবির-রাফীর জীবন থেকে আস্তে আস্তে সরে যেতে থাকে।মুরাদ মনে মনে রাফীকে ভুলতে চেষ্টা করতো। কিন্তু সে দেখল তার পক্ষে রাফীকেএত সহজে ভোলা সম্ভব না।যদিও রাফীর বাড়ি রংপুর এখান থেকে ৪৫ কিমিঃ দূরে।তবুও আবিরকে দেখলে মনে পড়ে যায় রাফী নামের সেই মেয়েটির মুখ।
তাই রাফীকে ভোলার জন্য মুরাদ ঠিককরল সে আবিরের সাথে কোন সংশ্রব রাখবে না।যদিও এটা তার জন্য খুবইকষ্টকর হয়ে দাড়াবে। তবুও চেষ্টা করতে তো দোষ নেই।যে ভাবেই হোক রাফীকে তো তাকে ভুলতেইহবে। ইচ্ছে করেই আবিরের সাথে ঝগড়া বাধালো মুরাদ।মুরাদ বলে উঠল"আমার সাথে আর তুই দেখা করবি না আর কথা বলার কোন রকম চেষ্টা করবিনা"।মুরাদের মুখে এমন কথা শুনে আবির বেশ অবাক হল।
এভাবে নানা রকম তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব তৈরী করতে থাকে মুরাদ। কেটে গেল দুটি বছর! মুরাদ এখনো ভালবাসে রাফীকে। আর মাঝে মাঝে নিজে নিজেই হাসে এইভেবে যে, হায়রে ভালবাসা!
যাকে ভালবাসি সেই জানে না তাকে ভালবাসি!আর সে কোনদিনও জানতে পারবে না যে মুরাদ নামের কোন এক পাগল কিশোর ভালবেসেছিল তাকে!হয়ত এখনো তাকে ভালবেসে চেয়ে আছে ফিরেআসা পথটির দিকে নিষ্পলক দুটি আঁখি মেলে! মুরাদ এখন আর ভাবে না রাফীর কথা,গাঁথে না রাফীকে নিয়ে কোন ভালবাসার মালা!গাথঁবেই বা কি করে?তার ভালবাসার চারাগাছটি তো অনেক আগেই মরে গেছে!কোন এক শীতে হয়ত ঝড়ে গেছে গাছটির কঁচি পাতা গুলো!
তার পর আর সেই গাছটির জন্য আসেনিকোন বসন্ত!লাগেনি ফাল্গুনের সপ্নীল ছোয়া! এত কিছুর পরও যখন অন্ধকার রাতে তারা ঝলমল আকাশে রুপোর থালার মত চাঁদ নামের উপগ্রহটি উঁকি দেয় ধরার বুকে! মুরাদের তখন চাঁদটিকে মনে হয় তাররাফী!দূর থেকে দেখছে তার একা একাপথ চলা!
এতেই শেষ নয়! সামনের জীবনে রাফীকে ভালবাসার কতটুকু মূল্য কিভাবে দিতে হবে মুরাদকে তা সে নিজেই জানে না। আপনাদের কাছে প্রশ্ন, রাফী কি কোন দিনই বুঝতে পারবে নামুরাদের এই না বলা ভালবাসাকে.......? ।।।।কাজী সোহেল
না বলা ভালবাসা :
তেমন মধুর কোন স্রীতি ছিলনা মুরাদ আর রাফীর মধ্যে।শুধুমাত্রএকটি বার চোখ চাওয়া চাওয়ি করা ছাড়া। সেই চোখা চোখির সময় রাফীর মনে কোন প্রতিক্রিয়া হয়েছিল কি না মুরাদ তা জানে না,শুধু জানে তার নিজের মনে কেউ একজন ভালবাসার আবাস গড়ল সারাজীবনের জন্য।
সে দিনের পর থেকে আর দেখা হয়নি রাফীর সাথে।তবুও মনে মনে খুজে ফিরছিল মুরাদ রাফী নামের মায়াবতী কোমলমতী এক সুন্দর গ্রাম্য মেয়ের মুখ। মুরাদ তখনও জানে না রাফী মেয়েটি তার জীবনের জন্য কি বার্তা নিয়ে আসছে। এ দিকে মুরাদ রাফী কে নিয়ে সুখেরসপ্ন দেখা শুরু করেছে।
কিছুদিন পর মুরাদ তাদের বাড়ির উঠোনে একটি অপরিচীত মেয়ের অবয়ব আবিষ্কার করল।মুখটা তখনও অস্পষ্ট।তবে কেন জানি মুরাদের মনে হচ্ছিল এই মেয়েটিই সেই মেয়ে। মুরাদ বুঝতে পারে না মেয়েটার প্রতি তার কেন এত আকর্ষন?কিসেরই বা আকর্ষন? এর আগে মুরাদ কোন মেয়েকে এমন ভাবে ভাবেনি!
মুরাদ ভাবতে থাকে 'এটাই বুঝি ভালবাসা'। মেয়েটা যখন ঘুরে দাড়াল মুরাদ চমকে উঠল।এই মেয়েটাই তো সেই মেয়ে! মুরাদ তার ছোট বোন ইলার সাথে রাফীর কিছুটা ঘনিষ্টতা লক্ষ্য করল। ইলার কাছ থেকেই রাফী নামটা জানতেপারল মুরাদ।আরো জানল মেয়েটার বাড়ী রংপুর।এখানে ব্রিত্তী পরীক্ষা দেয়ার জন্য কোন এক আত্বীয়ের বাসায় আছে।
মুরাদ ভাবে ভালবাসার কথাটা রাফী কে বলবে। কিন্তু কিসের যেন এক অদ্রীশ্য দেয়াল এসে তাতে বাধা দেয়। মানুষের না পাওয়া গুলো যখনই পাওয়ায় রুপান্তরীত হতে চায় তখনই কিছু না কিছু এসে তাতে কাঁটাতার হয়ে বাঁধা দেয়।
মুরাদ বরাবরই ভাল ছেলে।গ্রামের সবাই ওকে খুব নম্র,ভদ্র ছেলে হিসেবে জানে। মূল বাধাটা এখানেই। মুরাদ চায়নি তার নামে কোন খারাপ ঘটনা বা কাহীনি রটুক গ্রামে।ও চেয়েছিল ধীরে ধীরে রাফীকে ও ওর অভীভাবক কে কথাটা জানাতে। কিন্তু ও হয়ত একটু বেশী দেরী করেফেলেছিল!
কেটে গেল ৫ টি বছর- মুরাদ তখনও তার ভালবাসার কথা বলতে পারেনি রাফীকে। মুরাদের ভালবাসার মাঝে বাধা হয়ে দাড়াল তারই এক বন্ধু আবির!যে কিনা নিজেও ভালবাসত রাফীকে। মুরাদ তখনও তা জানত না।রাফীর কারনে বন্ধুত্ব নষ্ট হওয়ার আগ মহূর্তটি পর্যন্ত তারা একে অপরে ছিল খুব ভাল বন্ধু! অবশ্য মুরাদ নিজেই এ বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে আবির ও রাফীর ভালর জন্য।
মুরাদ দেখল রাফী ও আবির একে অপরকে খুব ভালবাসে। এখন যদি সে রাফীকে তার ভালবাসার কথা বলে তবে তিনটি জীবনের জন্য তা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।একথা ভেবেই মুরাদ আবির-রাফীর জীবন থেকে আস্তে আস্তে সরে যেতে থাকে।মুরাদ মনে মনে রাফীকে ভুলতে চেষ্টা করতো। কিন্তু সে দেখল তার পক্ষে রাফীকেএত সহজে ভোলা সম্ভব না।যদিও রাফীর বাড়ি রংপুর এখান থেকে ৪৫ কিমিঃ দূরে।তবুও আবিরকে দেখলে মনে পড়ে যায় রাফী নামের সেই মেয়েটির মুখ।
তাই রাফীকে ভোলার জন্য মুরাদ ঠিককরল সে আবিরের সাথে কোন সংশ্রব রাখবে না।যদিও এটা তার জন্য খুবইকষ্টকর হয়ে দাড়াবে। তবুও চেষ্টা করতে তো দোষ নেই।যে ভাবেই হোক রাফীকে তো তাকে ভুলতেইহবে। ইচ্ছে করেই আবিরের সাথে ঝগড়া বাধালো মুরাদ।মুরাদ বলে উঠল"আমার সাথে আর তুই দেখা করবি না আর কথা বলার কোন রকম চেষ্টা করবিনা"।মুরাদের মুখে এমন কথা শুনে আবির বেশ অবাক হল।
এভাবে নানা রকম তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব তৈরী করতে থাকে মুরাদ। কেটে গেল দুটি বছর! মুরাদ এখনো ভালবাসে রাফীকে। আর মাঝে মাঝে নিজে নিজেই হাসে এইভেবে যে, হায়রে ভালবাসা!
যাকে ভালবাসি সেই জানে না তাকে ভালবাসি!আর সে কোনদিনও জানতে পারবে না যে মুরাদ নামের কোন এক পাগল কিশোর ভালবেসেছিল তাকে!হয়ত এখনো তাকে ভালবেসে চেয়ে আছে ফিরেআসা পথটির দিকে নিষ্পলক দুটি আঁখি মেলে! মুরাদ এখন আর ভাবে না রাফীর কথা,গাঁথে না রাফীকে নিয়ে কোন ভালবাসার মালা!গাথঁবেই বা কি করে?তার ভালবাসার চারাগাছটি তো অনেক আগেই মরে গেছে!কোন এক শীতে হয়ত ঝড়ে গেছে গাছটির কঁচি পাতা গুলো!
তার পর আর সেই গাছটির জন্য আসেনিকোন বসন্ত!লাগেনি ফাল্গুনের সপ্নীল ছোয়া! এত কিছুর পরও যখন অন্ধকার রাতে তারা ঝলমল আকাশে রুপোর থালার মত চাঁদ নামের উপগ্রহটি উঁকি দেয় ধরার বুকে! মুরাদের তখন চাঁদটিকে মনে হয় তাররাফী!দূর থেকে দেখছে তার একা একাপথ চলা!
এতেই শেষ নয়! সামনের জীবনে রাফীকে ভালবাসার কতটুকু মূল্য কিভাবে দিতে হবে মুরাদকে তা সে নিজেই জানে না। আপনাদের কাছে প্রশ্ন, রাফী কি কোন দিনই বুঝতে পারবে নামুরাদের এই না বলা ভালবাসাকে.......? ।।।।কাজী সোহেল
কাঠখোট্টর মেয়ের সাদাসিধে ভালবাসা :
পলায়িত সাঁঝ,
যাবার বেলায় রেখে গিয়েছিল,
রক্তিম পায়ের ছাপ,
দুধর্ষ গোধুলী,
নোনা জলে ধুয়ে নিল,
লাল আলপনা,
টুকরো কথা ।
আর সবই ।
গোধুলীর এ সময়টা বেশ আনমনে হয় যায় লাবন্য। নিজেকে খুব অপরিচিত লাগে ওর, ভেতরের সত্ত্বাটা যেন হারিয়ে ফেলেছে সে । শত খুঁজে ও সেটার সন্ধান মিলাতে পারেনা। কিন্তু এমন তো হবার কথা নয়, লাবন্যে কি তাহলে এতদিন লালিত সত্তা হারিয়ে ফেলেছে । বুঝতে পারছেনা, ঘোরের মধ্যে চলে যাচ্ছে ।
বাবা মার খুব আদরের সন্তান লাবন্য । দুই মেয়ের মধ্যে ছোটটি সে । লাবন্যের ছোট বেলাটা কেটেছে খুব দুরন্তপনা আনন্দ আর উচ্ছাসের মধ্য দিয়ে। তবে ও ছিল অনেকটা ব্যাতিক্রম, আর আট দশটা মেয়ের মত নয়। মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের সাথেই তার মেলা মেশা হত বেশি। ওর মাঝে মেয়ে সুলভ আচরণটা কম ছিল। সারাক্ষন দস্সিপনায় কাটতো লাবন্যের। ছেলেদের মত করে ক্রিকেট ফুটবল সবই খেলত, যা নব্বই দশকের মেয়েদের কাছ থেকে আশা করা যায় না।
তবে বাড়ির ছোট সন্তান হিসেবে যেমনটা স্বাধীনতা পাওয়ার দরকার ছিল, ঠিক ততটুকুই পেয়েছিল সে। বাবা,মা,বড় বোন কেউই তার কোন আব্দার কখনো অপূর্ন রাখেনি। জীবনে যা সে চেয়েছি তাই পেয়েছে।
এক রাতে তো ঘুম ভেঙ্গে আইসস্ক্রিম এর জন্য সে কি কান্নাকাটি, কি আর করার, নাছোড়বান্দা মেয়ে । পরে লাবন্যের বাবা এই রাত বিরাতে অনেক খুজে একটা দোকান থেকে তার জন্য আইসস্ক্রিম নিয়ে আসে! এরকম আরো কত শত টুকরো টুকরো আদর স্নেহে ঘেরা ছিল লাবন্যের জীবন, তা বলে শেষ করা যাবে না ।
দিন যেতে থাকে, আস্তে আস্তে লাবন্য বড় হয়, কিন্তু মানুষিক ভাবে সেই ছেলেপনাটা থেকেই যায়। কি জানি স্রষ্টিকর্তা হয়তো ভুল করে তাকে মেয়ে বানিয়ে ফেলেছিল। শৈশব,কৈশর পেরিয়ে লাবন্য এখন যুবতী। হয়তবা যৌবনটা ও এভাবেই পেরিয়ে যেত, যদি তৌফিক তার জীবনে না আসতো। অনেক ছেলে বন্ধু থাকা সত্যেও তাদেরকে সে ওভাবে দেখতো না, স্রেফ বন্ধুই ভাবত ।
আর তৌফিকের সাথে ওর পরিচয়টা ভার্চুয়াল জগত্ দিয়েই। তাদের বন্ধুত্বটা বেড়ে ওঠতে থাকে একটা চারা গাছের মত করে। তৌফিককে সে অন্য ছেলেদের মত ভাবত না, লাবন্য ওকে অনেক ভাবেই পরীক্ষা করেছিল। একবার তো লাবন্য অন্য এক নাম্বার থেকে তৌফিককে ফোন করে বসে, ওর উদ্দেশ্য ছিল তৌফিক মেয়েদের প্রতি কতটা দুর্বল সেটা পরীক্ষা করা।
-হ্যালো, কে বলছেন,
কাকে চাই ?
-নাম্বারের মালিক যেহেতু আপনি, সো চাই তো আপনাকেই। তা ভাল আছেন?
-আমাকে চান মানে, আপনি আমাকে চেনেন? একজন মেয়ে হয়ে ছেলেদের ফোনে ডিস্টার্ব করেন, লজ্জা করে না আপনার?
এরকম অপ্রত্যাশিত ব্যাবহার পেয়ে লাবন্যর একদম নাজেহাল অবস্থা ।
-জি ইয়ে মানে,
-এসব মেয়েদের না কখনো লজ্জা হবে না, ধ্যাত ।
বলে তৌফিক ফোনটা কেটে দিল। (লাবন্য তার গলার ভয়েস চেন্জ করে কথা বলে,যার জন্য তৌফিক তাকে চিনতে পারে নি)
যাইহোক লাবন্যে কোথায় মন খারাপ হবে, উল্টো সে খুশি হল । তৌফিকই তার স্বপ্নের রাজকুমার । যাকে নিয়ে সে ঘর বাধার স্বপ্ন দেখতে পারে, সংসারের করার চিন্তা করতে পারে । এরপর দুজন দুজনের আরো কাছে আসতে থাকে। তৌফিকের প্রতি লাবন্যের অগাধ বিশ্বাস ছিল। ওরা দেখা পর্যন্ত করেছিল একবার। নাহ তৌফিক দেখতে খারাপ না, আবার অতটা স্মার্ট বলা যায় না, সাধারণ মানুষের মধ্যে অসাধারণ একজন, যেটাই লাবন্য চেয়েছিল।
ফোনে কথা বলা, চ্যাটিং, আর একটু একটু ভাল লাগা দিয়ে, সম্পর্কটা চর চর করে বেড়ে উঠতে থাকে । তবে তৌফিক যতই মেয়ে বিদ্দেষী হোক না কেন, লাবন্যের সাথে সে যথেষ্ট দুষ্টুমি করত । রাত জেগে জেগে কথা বলা, কথায় কথায় ব্যাবি বলা, জান্টুস,ময়না পাখি,টিয়া পাখি আরো কত কি । লুতুপুতু অবস্থা যাকে বলে । এসব কারনে লাবন্য ভেবেছিল তৌফিক ও হয়তবা তাকে ভালবাস। এবং উপর্যূপরি তৌফিকের প্রতি এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে, ওকে ছাড়া লাবন্যের এক মুহুর্ত চলাও সম্ভব না। লাবন্যের খাওয়া দাওয়া, পড়ালেখা সব খবরাখবর রাখতো তৌফিক। যথেষ্ট কেয়ার নিত ওর। তাছাড়া লাবন্য কোন দিন কোন ড্রেসটা পড়ে বের হবে সেটাও তৌফিককে জিঞ্জেস করতো । তাদের না বলা ভালবাসাটা গভীর থেকে গভীরতর হতে থাকে।
এদিকে লাবন্য অনেক বার আকার ইঙ্গিতে, নানান রকম উদাহরণ দিয়ে তৌফিক কে বুঝাতে চেয়েছে। কিন্তু তৌফিক এতটাই সহজ সরল ছিল যে লাবন্যকে ও বন্ধুর চেয়ে বেশী কিছু ভাবতে পারেনি। অথবা, বুঝতে পারলে বা কি, অনুভুতিগুলোর প্রত্তুত্বর করা সাহস তোফিকের হয় নি। কারন পরিবারের বড় ছেলে সে, বাবা মার প্রতি ওর যথেষ্ট দায়িত্ব কর্তব্যের কথা ভেবে, তৌফিক নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে । আগের মত লাবন্যে মেসেজ কিংবা ফোনে তেমন রেসপন্স দেয় না, হয়তো বুঝতে পেরেছিল, এ ভালবাসার ভবিষত্ অন্ধকার। তাই একসময় লাবন্যকে এভয়েট করা শুরু করে ।
এদিকে লাবন্যের দিনকাটে বিষন্নতায়, মেজাজ আগের চেয়ে খিটখিটে হয়ে গেছে ওর। তার ভালবাসার মানুষটা তাকে এভাবে এভয়েট করে চলে, ভাবতেই চোখ দিয়ে দুফোটা পানি চলে আসে ওর চোখে। রাত জাগতে শুরু করে সে ।
ঘুম আজ চোখের পাতা থেকে
চলে গেছে বহু দুরে,
তোরই কথা এ মনে বাজে করুণ সুরে,
খুব রাতজাগার কারনে ইদানিং লাবন্যের চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে গেছে। ওর মা বাবা ব্যাপারটা খেয়াল করে, কিন্তু একরোখা মেয়েকে কিচ্ছু বলতে পারে না। জীবন চলে যায় জীবনের নিয়মে ।
এখনো মাঝে মাঝে তৌফিক কে ফোন দেয় লাবন্য, "কেমন আছো ? কি করছো?" ব্যাস। তৌফিক শুধু উত্তর দিয়ে যায়, বেশী কিছু বলতে চায় না, যদি ফাদে পড়ে যায়, প্রেম নামক কঠিন সে ফাদে। লাবন্যের এ অবস্থার জন্য কে দায়ি, তা ঠিক আমি ও বুঝতে পারছি না । জানিনা এভাবে আর কত দিন চলবে, আর কতদিন লাবন্য তার হারিয়ে যাওয়া ভালবাসার পেছন ছুটবে।
খুব রাগী, অনুভুতিহীন একটা মেয়ে, অথচ আজ সব কিছু কেমন পাল্টে গেল । আর ভাবতে পারছে না লাবন্য, নাহ নিজেকে এবার পাল্টে ফেলা দরকার । আর কারো জন্য কাঁদবে না সে , বলতে বলতেই চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে যায় ওর। নরম গাল বেয়ে ঝরতে থাকে কষ্টের তপ্ত অশ্রু ।
কাঠখোট্টর মেয়ের সাদাসিধে ভালবাসা :
পলায়িত সাঁঝ,
যাবার বেলায় রেখে গিয়েছিল,
রক্তিম পায়ের ছাপ,
দুধর্ষ গোধুলী,
নোনা জলে ধুয়ে নিল,
লাল আলপনা,
টুকরো কথা ।
আর সবই ।
গোধুলীর এ সময়টা বেশ আনমনে হয় যায় লাবন্য। নিজেকে খুব অপরিচিত লাগে ওর, ভেতরের সত্ত্বাটা যেন হারিয়ে ফেলেছে সে । শত খুঁজে ও সেটার সন্ধান মিলাতে পারেনা। কিন্তু এমন তো হবার কথা নয়, লাবন্যে কি তাহলে এতদিন লালিত সত্তা হারিয়ে ফেলেছে । বুঝতে পারছেনা, ঘোরের মধ্যে চলে যাচ্ছে ।
বাবা মার খুব আদরের সন্তান লাবন্য । দুই মেয়ের মধ্যে ছোটটি সে । লাবন্যের ছোট বেলাটা কেটেছে খুব দুরন্তপনা আনন্দ আর উচ্ছাসের মধ্য দিয়ে। তবে ও ছিল অনেকটা ব্যাতিক্রম, আর আট দশটা মেয়ের মত নয়। মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের সাথেই তার মেলা মেশা হত বেশি। ওর মাঝে মেয়ে সুলভ আচরণটা কম ছিল। সারাক্ষন দস্সিপনায় কাটতো লাবন্যের। ছেলেদের মত করে ক্রিকেট ফুটবল সবই খেলত, যা নব্বই দশকের মেয়েদের কাছ থেকে আশা করা যায় না।
তবে বাড়ির ছোট সন্তান হিসেবে যেমনটা স্বাধীনতা পাওয়ার দরকার ছিল, ঠিক ততটুকুই পেয়েছিল সে। বাবা,মা,বড় বোন কেউই তার কোন আব্দার কখনো অপূর্ন রাখেনি। জীবনে যা সে চেয়েছি তাই পেয়েছে।
এক রাতে তো ঘুম ভেঙ্গে আইসস্ক্রিম এর জন্য সে কি কান্নাকাটি, কি আর করার, নাছোড়বান্দা মেয়ে । পরে লাবন্যের বাবা এই রাত বিরাতে অনেক খুজে একটা দোকান থেকে তার জন্য আইসস্ক্রিম নিয়ে আসে! এরকম আরো কত শত টুকরো টুকরো আদর স্নেহে ঘেরা ছিল লাবন্যের জীবন, তা বলে শেষ করা যাবে না ।
দিন যেতে থাকে, আস্তে আস্তে লাবন্য বড় হয়, কিন্তু মানুষিক ভাবে সেই ছেলেপনাটা থেকেই যায়। কি জানি স্রষ্টিকর্তা হয়তো ভুল করে তাকে মেয়ে বানিয়ে ফেলেছিল। শৈশব,কৈশর পেরিয়ে লাবন্য এখন যুবতী। হয়তবা যৌবনটা ও এভাবেই পেরিয়ে যেত, যদি তৌফিক তার জীবনে না আসতো। অনেক ছেলে বন্ধু থাকা সত্যেও তাদেরকে সে ওভাবে দেখতো না, স্রেফ বন্ধুই ভাবত ।
আর তৌফিকের সাথে ওর পরিচয়টা ভার্চুয়াল জগত্ দিয়েই। তাদের বন্ধুত্বটা বেড়ে ওঠতে থাকে একটা চারা গাছের মত করে। তৌফিককে সে অন্য ছেলেদের মত ভাবত না, লাবন্য ওকে অনেক ভাবেই পরীক্ষা করেছিল। একবার তো লাবন্য অন্য এক নাম্বার থেকে তৌফিককে ফোন করে বসে, ওর উদ্দেশ্য ছিল তৌফিক মেয়েদের প্রতি কতটা দুর্বল সেটা পরীক্ষা করা।
-হ্যালো, কে বলছেন,
কাকে চাই ?
-নাম্বারের মালিক যেহেতু আপনি, সো চাই তো আপনাকেই। তা ভাল আছেন?
-আমাকে চান মানে, আপনি আমাকে চেনেন? একজন মেয়ে হয়ে ছেলেদের ফোনে ডিস্টার্ব করেন, লজ্জা করে না আপনার?
এরকম অপ্রত্যাশিত ব্যাবহার পেয়ে লাবন্যর একদম নাজেহাল অবস্থা ।
-জি ইয়ে মানে,
-এসব মেয়েদের না কখনো লজ্জা হবে না, ধ্যাত ।
বলে তৌফিক ফোনটা কেটে দিল। (লাবন্য তার গলার ভয়েস চেন্জ করে কথা বলে,যার জন্য তৌফিক তাকে চিনতে পারে নি)
যাইহোক লাবন্যে কোথায় মন খারাপ হবে, উল্টো সে খুশি হল । তৌফিকই তার স্বপ্নের রাজকুমার । যাকে নিয়ে সে ঘর বাধার স্বপ্ন দেখতে পারে, সংসারের করার চিন্তা করতে পারে । এরপর দুজন দুজনের আরো কাছে আসতে থাকে। তৌফিকের প্রতি লাবন্যের অগাধ বিশ্বাস ছিল। ওরা দেখা পর্যন্ত করেছিল একবার। নাহ তৌফিক দেখতে খারাপ না, আবার অতটা স্মার্ট বলা যায় না, সাধারণ মানুষের মধ্যে অসাধারণ একজন, যেটাই লাবন্য চেয়েছিল।
ফোনে কথা বলা, চ্যাটিং, আর একটু একটু ভাল লাগা দিয়ে, সম্পর্কটা চর চর করে বেড়ে উঠতে থাকে । তবে তৌফিক যতই মেয়ে বিদ্দেষী হোক না কেন, লাবন্যের সাথে সে যথেষ্ট দুষ্টুমি করত । রাত জেগে জেগে কথা বলা, কথায় কথায় ব্যাবি বলা, জান্টুস,ময়না পাখি,টিয়া পাখি আরো কত কি । লুতুপুতু অবস্থা যাকে বলে । এসব কারনে লাবন্য ভেবেছিল তৌফিক ও হয়তবা তাকে ভালবাস। এবং উপর্যূপরি তৌফিকের প্রতি এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে, ওকে ছাড়া লাবন্যের এক মুহুর্ত চলাও সম্ভব না। লাবন্যের খাওয়া দাওয়া, পড়ালেখা সব খবরাখবর রাখতো তৌফিক। যথেষ্ট কেয়ার নিত ওর। তাছাড়া লাবন্য কোন দিন কোন ড্রেসটা পড়ে বের হবে সেটাও তৌফিককে জিঞ্জেস করতো । তাদের না বলা ভালবাসাটা গভীর থেকে গভীরতর হতে থাকে।
এদিকে লাবন্য অনেক বার আকার ইঙ্গিতে, নানান রকম উদাহরণ দিয়ে তৌফিক কে বুঝাতে চেয়েছে। কিন্তু তৌফিক এতটাই সহজ সরল ছিল যে লাবন্যকে ও বন্ধুর চেয়ে বেশী কিছু ভাবতে পারেনি। অথবা, বুঝতে পারলে বা কি, অনুভুতিগুলোর প্রত্তুত্বর করা সাহস তোফিকের হয় নি। কারন পরিবারের বড় ছেলে সে, বাবা মার প্রতি ওর যথেষ্ট দায়িত্ব কর্তব্যের কথা ভেবে, তৌফিক নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে । আগের মত লাবন্যে মেসেজ কিংবা ফোনে তেমন রেসপন্স দেয় না, হয়তো বুঝতে পেরেছিল, এ ভালবাসার ভবিষত্ অন্ধকার। তাই একসময় লাবন্যকে এভয়েট করা শুরু করে ।
এদিকে লাবন্যের দিনকাটে বিষন্নতায়, মেজাজ আগের চেয়ে খিটখিটে হয়ে গেছে ওর। তার ভালবাসার মানুষটা তাকে এভাবে এভয়েট করে চলে, ভাবতেই চোখ দিয়ে দুফোটা পানি চলে আসে ওর চোখে। রাত জাগতে শুরু করে সে ।
ঘুম আজ চোখের পাতা থেকে
চলে গেছে বহু দুরে,
তোরই কথা এ মনে বাজে করুণ সুরে,
খুব রাতজাগার কারনে ইদানিং লাবন্যের চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে গেছে। ওর মা বাবা ব্যাপারটা খেয়াল করে, কিন্তু একরোখা মেয়েকে কিচ্ছু বলতে পারে না। জীবন চলে যায় জীবনের নিয়মে ।
এখনো মাঝে মাঝে তৌফিক কে ফোন দেয় লাবন্য, "কেমন আছো ? কি করছো?" ব্যাস। তৌফিক শুধু উত্তর দিয়ে যায়, বেশী কিছু বলতে চায় না, যদি ফাদে পড়ে যায়, প্রেম নামক কঠিন সে ফাদে। লাবন্যের এ অবস্থার জন্য কে দায়ি, তা ঠিক আমি ও বুঝতে পারছি না । জানিনা এভাবে আর কত দিন চলবে, আর কতদিন লাবন্য তার হারিয়ে যাওয়া ভালবাসার পেছন ছুটবে।
খুব রাগী, অনুভুতিহীন একটা মেয়ে, অথচ আজ সব কিছু কেমন পাল্টে গেল । আর ভাবতে পারছে না লাবন্য, নাহ নিজেকে এবার পাল্টে ফেলা দরকার । আর কারো জন্য কাঁদবে না সে , বলতে বলতেই চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে যায় ওর। নরম গাল বেয়ে ঝরতে থাকে কষ্টের তপ্ত অশ্রু ।
Ring ID ১০০% পেমেন্ট দেয়। যারা জানেন না তাদের জন্য। যারা জানেন তারা দয়া করে বাজে মন্তব্য করবেন না। . Ring id আবার পুরোনো সেই অফার শুরু করেছে। account খুললেই ৩০টাকা।কোন Email দরকার নেই। তো চলুন শুরু করা যাক। . রেফারেল কোড 12216690 . *প্রথমে প্লে স্টোর থেকে Ring id ডাউনলোড করুন . *এরপর Apps টি চালু করুন *New account এ চাপ দিন *এরপরে 0 ছাড়া মোবাইল নাম্বার দিন। . *নম্বর দেওয়ার পর আপনার মোবাইল ভেরিফিকেশন এ smsআসবে . *এরপর নাম, পাসওয়ার্ড দিন। . ***সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো রেফারেল কোড 12216690 দিলে ৩০ টাকা পাবেন। . 12216690 রেফারেল কোড দিয়ে কেউ খুললেই সে পাবে ৩০ টাকা আর আপনি পাবেন ১০ টাকা . * এভাবে 100 টাকা হলে আপনি সঙ্গে সঙ্গেই রিচার্জ নিতে পারবেন। . *রিচার্জ আসতে দেরি হলে ২৪ ঘন্টা wait করুন অবশ্যই আসবে। . *এভাবে আপনি মোবাইলে অনেক টাকা রিচার্জ নিতে পারেন। . ### # আর আজকের মূল আলোচনা হলো রিচার্জ ছাড়া ও কিভাবে টাকা তুলতে পারবেন। . *প্রথম earn coin এ যান . *এরপর ভিডিও লাইভ করে যারা coin পেয়েছেন তারা cash out করুন। লেখা থাকবে ১০০০=2 CAD সেখানে চাপ দিন । . যাদের যেমন কয়েন আছে তারা সে রকম CAD দিয়ে টাকা বিকাশে নিতে পারবেন।
Download এখানে ক্লিক করুনDownload Ring ID
Download এখানে ক্লিক করুনDownload Ring ID
Ring ID ব্যবহার করে মবাইলে রিচার্জ নিন,,১০০%কার্যকর
Ring ID ১০০% পেমেন্ট দেয়। যারা জানেন না তাদের জন্য। যারা জানেন তারা দয়া করে বাজে মন্তব্য করবেন না। . Ring id আবার পুরোনো সেই অফার শুরু করেছে। account খুললেই ৩০টাকা।কোন Email দরকার নেই। তো চলুন শুরু করা যাক। . রেফারেল কোড 12216690 . *প্রথমে প্লে স্টোর থেকে Ring id ডাউনলোড করুন . *এরপর Apps টি চালু করুন *New account এ চাপ দিন *এরপরে 0 ছাড়া মোবাইল নাম্বার দিন। . *নম্বর দেওয়ার পর আপনার মোবাইল ভেরিফিকেশন এ smsআসবে . *এরপর নাম, পাসওয়ার্ড দিন। . ***সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো রেফারেল কোড 12216690 দিলে ৩০ টাকা পাবেন। . 12216690 রেফারেল কোড দিয়ে কেউ খুললেই সে পাবে ৩০ টাকা আর আপনি পাবেন ১০ টাকা . * এভাবে 100 টাকা হলে আপনি সঙ্গে সঙ্গেই রিচার্জ নিতে পারবেন। . *রিচার্জ আসতে দেরি হলে ২৪ ঘন্টা wait করুন অবশ্যই আসবে। . *এভাবে আপনি মোবাইলে অনেক টাকা রিচার্জ নিতে পারেন। . ### # আর আজকের মূল আলোচনা হলো রিচার্জ ছাড়া ও কিভাবে টাকা তুলতে পারবেন। . *প্রথম earn coin এ যান . *এরপর ভিডিও লাইভ করে যারা coin পেয়েছেন তারা cash out করুন। লেখা থাকবে ১০০০=2 CAD সেখানে চাপ দিন । . যাদের যেমন কয়েন আছে তারা সে রকম CAD দিয়ে টাকা বিকাশে নিতে পারবেন।
Download এখানে ক্লিক করুনDownload Ring ID
Download এখানে ক্লিক করুনDownload Ring ID
Subscribe to:
Posts (Atom)
ভালোবাসা অনেক সময় সার্থপরের মত একা রেখে চলে যায় আসলে সব জায়গায় সবাই সার্থপ্র ,,,,,,,,,,,,,,,,,,
-
এখানেই সব পাবেন,,,,,,,,, Facebook Page
-
Kinemaster এ কিভাবে ভিডিও লেয়ার অ্যাড করবেন রোট করা ছাড়া? Add KineMaster Video layer Without Root KineMaster Download link: Link: https:/...
Popular Posts
-
এখানেই সব পাবেন,,,,,,,,, Facebook Page
-
Kinemaster এ কিভাবে ভিডিও লেয়ার অ্যাড করবেন রোট করা ছাড়া? Add KineMaster Video layer Without Root KineMaster Download link: Link: https:/...
-
এখানেই সব হয়
-
কাঠখোট্টর মেয়ের সাদাসিধে ভালবাসা : পলায়িত সাঁঝ, যাবার বেলায় রেখে গিয়েছিল, রক্তিম পায়ের ছাপ, দুধর্ষ গোধুলী, নোনা জলে ধুয়ে...
-
ব্লগ সাইট তৈরি করার একটি পূর্ণ টিউটোরিয়াল প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন আপনারা? আশা করে সবাই ভাল আছেন! আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি। আজ...
-
সাইন আপ Signup
আমকে পাবেন
Your Website Title